রবি মৌসুমে চারার ড্যাম্পিং অফ রোগ নিয়ে কৃষকরা বেশি চিন্তিত হয়ে যান তাই এই রোগের ধরণ,কারণ, প্রতিকার তুলে ধরা হলো -
ক্ষতির ধরণ : আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে ভেজা দাগ দেখা যায় । শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায় । স্যাঁতস্যাঁতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে । চার পর্যায়ে আক্রমণ করে। ফসলের গোঁড়ায় আক্রমণ করে।
রোগের কারণঃ তিনটি প্রধান কারনে হয়ে থাকে
১। মাটি বাহিত ছত্রার (সাধারনত Rhaizotonia, Fusarium এবং Pythium এর কয়েকটি প্রজাতি)
২। মাটির জলীয় অংশের তারতম্য
৩। তাপমাত্রার হ্রাস বৃদ্ধি
৪। বীজতলায় চারার ঘনত্ব বেশি হলে
প্রতিকারঃ যেহেতু ছত্রাকের আক্রমণ চারা গাছের উপরের অংশ ভেদ করে টিস্যু তে মিশে যায় তাই প্রতিকারের জন্য সিস্টেমিক ছত্রাকনাশক ব্যাবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে
১। বীজতলা বা টব, পলিব্যাগের মাটিতে পানি নিষ্কাশনের ভাল ব্যাবস্থা রাখা, এবং প্রয়োজন অনুসারে পানি সেচ দেয়া।
২। বীজতলায় সেডের ব্যাবস্থা করা।
৩। মাটি শোধন করাঃ এক্ষেত্রে কারবেন্ডাজিম গ্রুপ্রের ছত্রাকনাশক মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে অথবা ট্রাইকোডার্মা পাউডার বা লিকুইড সলিউশন মিশিয়ে দিয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। অথবা, বীজতলায় ১% বোর্দো মিশ্রণ ছিটিয়ে দিন। আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে ধ্বংস করুন । আক্রান্ত পাতা ও ডগা অপসারণ করে মাটিতে পুতে ফেলুন বা পুড়ে ফেলুন।
৪। বীজ শোধনঃ এক্ষেত্রে কারবেন্ডাজিম এবং ভিটাভ্যাক্স ২০০ উভয়ই প্রায় সমান কার্যকরী।
৫। বীজতলায় চারা ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
# অপর্ণা বড়ুয়া, এআইসিও কৃতসা, ঢাকা।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS